শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ঝালকাঠিতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে প্রতিটি নদ-নদীর পানি। এতে তলিয়ে গেছে অর্ধশত গ্রাম।
ভেসে গেছে ঘেরের মাছ, নষ্ট হচ্ছে আমন বীজতলাসহ বর্ষাকালীন শাক-সবজির ক্ষেত। গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ রাস্তাই পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব গ্রামের মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ার এবং বৃষ্টির কারণে রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বাড়তে শুরু করে। রাতে অতিরিক্ত পানি বাড়ার ফলে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রাম ছাড়াও জেলা শহরের অনেক এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢোকায় অনেক পরিবারের রান্না-খাওয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে কাঁঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর অংশে উপজেলা পরিষদ ভবন, নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, আমুয়া, বড় কাঁঠালিয়া, শৌলজালিয়া, কচুয়া ফেরিঘাটসহ ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রাজাপুরের বড়ইয়া এলাকার পালট, কাচারীবাড়ি, নাপিতের হাট, চল্লিশ কাহনিয়া, বাদুরতলা ও মঠবাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চলসহ ১০ গ্রাম। নলছিটির বারইকরণ ও ফেরিঘাট এলাকাসহ ১০টি গ্রাম এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার কলাবাগান, পোনাবালিয়া, দেউরি, চর ভাটারাকান্দা, দিয়াকুলসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পানি বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে পানি বাড়ায় কৃষিজমি, মাছের ঘেরসহ গ্রামের কাঁচা রাস্তা ও বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পিউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান জানান, জেলার সুগন্ধা, বিষখালী, হলতা, গাবখান ও বাসন্ডাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার মধ্যে কাঁঠালিয়া উপজেলা নিম্নাঞ্চল হওয়ায় একটু পানি উঠলেই উপজেলা পরিষদ তলিয়ে যায়। বন্যাসহ সব দুর্যোগ থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ রক্ষার জন্য আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর কাজ আগামী শুকনো মৌসুমে শুরু করা হবে। এছাড়াও উপজেলার নিম্নাংশের বেড়িবাঁধ, রাজাপুর, নলছিটি ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার যেখানে বেড়িবাঁধ নেই সেখানে নতুন করে বাঁধ তৈরি ও অরক্ষিত বেড়িবাঁধের সংস্কারের প্রকল্প শিগগিরই শুরু হবে।